অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করাটা আমি উপভোগ করি: জয় চৌধুরী

অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী; দু’জনের ক্যারিয়ারে বিস্তর ফারাক। রুপালি পর্দায় অপুর পথচলা শুরু হয় ২০০৬ সালে, আর জয় আসেন ২০১৪ সালে। এছাড়া জনপ্রিয়তার নিরিখেও অপু রয়েছেন জয়ের চেয়ে মাইল খানেক এগিয়ে।

বয়স, ক্যারিয়ার ইত্যাদির পার্থক্যকে তুড়ি মেরে একসঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করছেন অপু ও জয়। গত বছরের মে মাসে ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ নামের একটি সিনেমার মাধ্যমে তারা প্রথম জুটি বাঁধেন। সিনেমাটির কাজ শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যেই গত মার্চে নতুন আরেকটি সিনেমায় কাজ শুরু করেন তারা। এর নাম ‘ট্র্যাপ’।

পরপর দুই ছবিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন? জানতে চাইলে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জয় চৌধুরী বলেন, অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। কারণ, সিনিয়র এবং জনপ্রিয় আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করলে অনেক কিছু শেখা যায়। অপু বিশ্বাসের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কও অনেক ভালো। তাই তার সঙ্গে কাজ করাটা সবসময়ই উপভোগ করি।

মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর অগ্রগতি কতদূর? জয় বলেন, আমার অভিনীত নয়টি সিনেমার সেন্সর হয়ে আছে। করোনার জন্য লম্বা একটি সময় কোনো সিনেমা রিলিজ হয়নি। যার কারণে সিনেমাগুলো আটকে গেছে। এর মধ্যে কোরবানির ঈদে ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা আছে। বাকিগুলো ভালো সময় দেখে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তির দিন ঠিক করা হবে। সিনেমা মুক্তির বিষয়টি তাদের হাতে।

১০ বছর হলো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। নিজেকে কতটা সফল মনে করেন? জয় বলেন, একদিক দিয়ে একেবারেই সফল না। কারণ, রেগুলার কাজ করতে পারিনি। মাঝে দুই বছর ঢাকার বাইরে ছিলাম। সে সময় একটা হযবরল অবস্থা ছিল। তবে এখন নিয়মিত কাজ করছি। ভালো ভালো কাজ হাতে আসছে। চেষ্টা করছি মন দিয়ে কাজ করার। আরেক দিকে সফল। সেটি হলো, চলচ্চিত্রে যেসব মানুষদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, স্বপ্ন গড়েছি, তাদের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। তারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। পাশাপাশি দর্শকদেরও ভালোবাসা পেয়েছি। আমার মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো হলে গিয়ে দেখেছি। সেখানে দেখেছি, একজন আর্টিস্টকে তারা কতটা ভালোবাসেন।

আগামী কয়েক বছরে নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান? জয় চৌধুরী বলেন, প্রতিটি আর্টিস্টেরই স্বপ্ন থাকে, সে দর্শকের ভালোবাসা অর্জন করবে। এমন একটা প্লাটফর্মে যাবে, যেখান থেকে তার জন্য দর্শকের ভালোবাসাই শ্রেয় হয়ে উঠবে। প্রতিটি আর্টিস্টেরই স্বপ্ন সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়া। কেউ সেটা পারে, কেউ পারে না। তাই একজন আর্টিস্ট এবং ভালো মানুষ হিসেবে চলচ্চিত্রের মানুষ এবং দর্শকদের মনিকোঠায় জায়গা করে নিতে চাই। ক্যারিয়ারের শেষপর্যন্ত এটাই আমার লক্ষ্য।