আমরা মন্দিরের ঘণ্টা, যে যখন খুশি বাজিয়ে চলে যায় : কৌশানি

সিনেমার নাম ‘ডাল বাটি চুরমা।’ বাংলা ছবির জগতে সচরাচর নায়িকাদের প্রযোজক হিসেবে দেখা যায় না। ছবির মুক্তির আগে প্রযোজক কৌশানী মুখোপাধ্যায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন নানা কথা।

ছবিটা সবার ভালো না-ও লাগতে পারে, সে বিষয়ে কি আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত? এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশানী বলেন, হ্যাঁ, আমরা আসলে মন্দিরের ঘণ্টা, যে পারে এসে বাজিয়ে চলে যায়। পাবলিক ফিগার হওয়া মানেই অলিখিত ঘোষণা, যে যেমন খুশি কথা বলতে পারে। ট্রল করতে পারে। আমরা এগুলো নিয়েই সংসার করি। নেতিবাচক মন্তব্য এখন আমি উপভোগ করি।

প্রযোজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই রকমের দায়িত্ব আমার কাঁধে। শুটিং চলাকালীন গুরুদায়িত্ব ছিল যে সেটে উপস্থিত সবার কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না তার খেয়াল রাখা! সবার চাহিদা ঠিকমতো পূরণ হচ্ছে কি না, দেখার দায়িত্ব ছিল আমার। শুধু তাই না, গানগুলো যেন ভালো হলো, সেই দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি আমি। টাকা-পয়সার বিষয়ে খুব বেশি গভীরে ঢুকিনি। তবে চেক আমার হাত দিয়েই দেওয়া হয়েছে। কারণ বাড়ির লক্ষ্মী হিসেবে এমনটাই রীতি আমাদের পরিবারে। এখন ছবির প্রচারের অনেকটাই আমি পরিকল্পনা করছি।

আমরা মন্দিরের ঘণ্টা, যে যখন খুশি বাজিয়ে চলে যায় : কৌশানি

নায়িকারা সাধারণত প্রধান চরিত্র ছাড়া অভিনয় করতে চান না। সেখানে ‘প্রজাপতি’ ছবিতে নতুন নায়িকাকে নিয়ে এত মাতামাতি হলো কেন-এই প্রশ্নের জবাবে কৌশানী বলেন, আমার গল্পটা পড়ে মনে হয়েছিল, এই ছবিটা দর্শকের মনে একটা অন্য জায়গা করে নেবে। তবে হ্যাঁ, আমি জানতাম না যে পোস্টারে থাকব না। তাতেও আমার আক্ষেপ নেই। পোস্টারে মুখ না থাকলেও সবাই জানেন যে এই ছবিতে কৌশানী আছে।

পারিশ্রমিকের বৈষম্য প্রসঙ্গে কৌশানী বলেন, এমন অনেক সময় হয়েছে, একটা ছবিতে আমার নায়কের তুলনায় অনেক বেশি অংশ আমার। আমায় অনেক বেশিদিন সময় দিতে হয়েছে। কিন্তু শেষে নায়ককেই বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে, আমায় নয়। আমি বনিকে অনেকবার প্রশ্ন করেছি। অনেক সময় বনির সঙ্গেই হয়তো ছবি করছি। ওর থেকে আমায় অনেক বেশি দিন সেই ছবির জন্য শুট করতে হয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে আমাকে ওর থেকে কম টাকাই দেওয়া হয়েছে। তখনই বনিকে আমি বলেছিলাম, কেন এমনটা হয়?

কিছুদিন আগে কৌশানী ঢাকায় এসেছিলেন, চাঁদপুরে একটি সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, প্রশংসা করেছিলেন এ দেশের খাবার থেকে মানুষ- সব কিছুরই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *