গ্রে.প্তার অর্পিতা : পাল্টে গেল অভিনেত্রীর বিলাসী জীবন

জনপ্রিয় অভিনেত্রী অর্পিতা। ২০০৫ সালে মডেলিং দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে প্রবেশ করেন তিনি। অল্প অল্প অভিনয়ের মাধ্যমে শুরু করলেও এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একাধারে মডেলিং ও অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার ধরে রেখেছিলেন।

এদিকে ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ তাকে গ্রে.প্তার করা হয়। পাশাপাশি, আটক করা হয় ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ মডেলি ও অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।

এর আগে পার্থের বাড়িতে হানা দিতেই অর্পিতার নাম পুলিশের সামনে উঠে আসে। এরপর তার বাড়িতেই হানা দিয়ে খোঁজ মেলে ২০ কোটি টাকার। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১ কোটি। তদন্তকারীদের দাবি, অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গেছে ৫০ লাখ টাকার সোনা ও বিদেশি মুদ্র।

পুলিশ আরও জানায়, বেলঘরিয়ার রথতলার একটি অভিজাত আবাসনে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেখানে মাস কয়েক আগেও নিয়মিত দেখা যেত তাকে। দেওয়ানপাড়াতেও একটি বাড়ি রয়েছে তার। সেখানে এখন তার মা এবং অন্য আত্মীয়রা থাকেন।

বেলঘরিয়ার রথতলার আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দা দাবি করেছেন, মাঝেমধ্যেই সেখানে লাল একটি গাড়িতে চেপে কেউ আসতেন।

এদিকে অর্পিতাকে গ্রে.প্তার করে প্রথমে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলে। পরে সেখান থেকে শনিবার রাতে নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানেই ফের শুরু হয় জেরা।

রোববার (২৪ জুলাই) সকালে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হয় তাকে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইডি তাকে নিয়ে যান কোর্টে। ফের এক ঝলক দেখা যায় অর্পিতাকে। তখনও তার পরোনে সেই একই পোশাক, লাল টি-শার্ট। তার ওপর জড়ানো সাদা-কালো জামা।

অর্পিতাকে এক দিনের জন্য ইডির হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ওই রাতেই ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে আবার সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে ফের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অর্পিতাকে। তখনও তার গায়ে সেই একই পোশাক।

জোকার ইএসআই হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরেই ফের অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *