‘জ্বীন’ সিনেমা দেখে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে কেঁদে দিলেন দর্শক
পূজা চেরি অভিনীত ভৌতিক চলচ্চিত্র ‘জ্বীন’ একা দেখলে লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড। চমকপ্রদ সেই ঘোষণার পরেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
তাদের মধ্যে দুই অংশগ্রহণকারীকে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং একটি অন্ধকার ঘরে ‘জ্বীন’ চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়। তবে দুই জনের মধ্যে একজনও ছবিটি শেষ করতে পারেননি। মাত্র কয়েক মিনিট দেখার পর তারা ভয় পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে মঙ্গলবার লাইভে আসেন চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করা সজল নূর ও পূজা চেরি। সেখানে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী জিসান নামের একজন ‘জ্বীন’ সিনেমাটি দেখা শেষ না করেই ঘর থেকে বের হয়ে যান।
প্রচণ্ড ভয় পেয়ে কাঁপতে থাকা জিসানকে সান্ত্বনা দেন অভিনেতা সজল। তাকে এক গ্লাস পানি দিয়ে শান্ত হতে বলেন তিনি। এ সময় জিসান বলেন, সিনেমাটি এতটাই ভয়ঙ্কর, আমার মনে হয় না যে কেউ কখনো একা দেখতে পারবেন। ছবির শুরুর দৃশ্যটি ছিল সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর।
আরেকজন অংশগ্রহণকারী আফরিন ইসলাম আসেন রাজধানীর খিলগাঁও থেকে। তিনিও সিনেমাটি খুব বেশিক্ষণ দেখতে পারেননি। বের হয়ে তিনি বলেন, হলে সবার সঙ্গে সিনেমাটি দেখবো, একা দেখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
নাদের চৌধুরী পরিচালিত ‘জ্বীন’ চলচ্চিত্রে জ্বীন ভর করা এক নারীর পরিবার, ভালোবাসার মানুষ ও প্রতিবেশীদের মানসিক ভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। পূজা ছাড়াও ছবিটিতে অভিনয় করেছেন আবদুন নুর সজল, জিয়াউল রোশানসহ অনেকে।
গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) চলচ্চিত্রটি একা দেখার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জাজের ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বলা হয়, চলচ্চিত্রটি একা দেখার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জাজের ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বলা হয়, “‘জ্বীন’ সিনেমা একা দেখতে পারলেই এক লক্ষ টাকা পুরস্কার। আজ (শনিবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এক ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলাম। হলো ছাত্রদের সাথে আলোচনা। সেখানে সব ছাত্রদের উদ্দেশে ঘোষণা দেয়া হলো, কেউ একা একটি হলে বসে ‘জ্বীন’ সিনেমাটি সম্পূর্ণ দেখতে পারলে তাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
“সেখানে কেউ রাজি হয় নাই। আপনি কি পারবেন ‘জ্বীন’ সিনেমাটি একা দেখতে? সম্পূর্ণ হলে আপনি একা? যদি পারেন তাহলে জানান। আমরা রেডি।”
পোস্টে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। সেগুলো হলো ভয়ের কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জাজ মাল্টিমিডিয়া বা হল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। হলের বাইরে একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। সম্পূর্ণ সিনেমা দেখতে না পারলে হলের ভাড়া ও অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিতে হবে। সম্পূর্ণ সিনেমা দেখতে পারলে কিছুই দিতে হবে না; জাজ উল্টো নগদ ১ লাখ টাকা দেবে। একই সঙ্গে কোকাকোলা, নাস্তা খাওয়াবে বা দিয়ে দেবে প্রতিষ্ঠানটি।