‘দিন দ্য ডে’র প্রচারে ঘুরে ঘুরে বর্ষার জ্বর

দীর্ঘ আট বছর পর নতুন সিনেমা ‘দিন দ্য ডে’ নিয়ে হাজির হয়েছেন তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল ও বর্ষা। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার প্রচারে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন হলে গিয়ে দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি দেখছেন অনন্ত-বর্ষা। এদিকে সিনেমার প্রচারে ঘুরে ঘুরে জ্বর এসেছে সুন্দরী নায়িকা বর্ষার।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫টায় সাভারের সেনা অডিটোরিয়াম সিনেমা হলে গিয়েছিলেন অনন্ত-বর্ষা। সেখানে প্রদর্শনী শুরুর আগে দর্শকদের উদ্দেশে বক্তব্যের সময় নিজের অসুস্থতার কথা জানান নায়িকা।

স্বাগত বক্তব্যে বর্ষা বলেন, ‘দর্শকদের দেখে মনে হচ্ছে, হাজার হাজার জোনাকি আমাদের সামনে (মুঠোফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে অনন্ত-বর্ষাকে স্বাগত জানান দর্শকরা)। গত এক মাস ধরে আমরা সিনেমার প্রচারে এতো কষ্ট করছি যে, আজকে আমার শরীরে জ্বর চলে এসেছে। তবে এখানে এসে ভালো লাগল। অনেক মানুষ দেখলাম। যারা এসেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।’

বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘দিন দ্য ডে।’ সিনেমাটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নি করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক।

এর আগে আরটিভি নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বর্ষা বলেন, ‘আপনারা স্ক্রিনে যেটা দেখতে পারছেন, সেটা কিন্তু সিনেমার বাজেট না। যেদিন থেকে ওই সিনেমাটির জন্য মিটিংয়ে বসা হয়, লোকেশন দেখতে যাওয়া হয়, এমনকি প্রচারণার খরচ—সব মিলিয়েই কিন্তু বাজেট। যারা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন তারা বুঝতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০-২৫ দিন শুটিং করা হয়েছে, আমরা শুধু সেই অংশটুকুর খরচ দিয়েছি। এর আগে ইরান থেকে একটি টিম প্রি-প্ল্যান করতে এসেছিল সেই খরচগুলো আমাদের। আর বাকি সব খরচ তো ইরান করেছে।’

আক্ষেপের সুরে বর্ষা বলেন, ‘আমি দেখছি, সিনেমা রিলিজ করার পর থেকেই ব্যক্তিগত বিষয়ে বেশি আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, দয়া করে সিনেমার যে গল্পকে হাইলাইট করি। আপনারা তো সবসময় নারীবাদী বিষয়কে হাইলাইট করেন। সারাজীবন দেখে এসেছেন, হিরো এসে হিরোইনকে বাঁচায়।

কিন্তু এই সিনেমায় বিরতির পর যখন আমি হিরোইন হিসেবে হিরোকে বাঁচালাম, অ্যাকশন করলাম, ফাইট করলাম—এই বিষয়টা তো মানুষের চোখে পড়া উচিত। কোথাও তো দেখছি না, এই বিষয়টা আপনারা তুলে ধরছেন। তাহলে নারীবাদীটা কোথায়?

আমরা মেয়েরা যে এত কষ্ট করি, এটার সাপোর্টটা কোথায়? সিনেমাটি যেভাবে নির্মিত হয়েছে, প্রযুক্তিকে যেভাবে তুলে ধরেছি, যে দেশপ্রেম দেখিয়েছি, দেশের সরকারকে, দেশের পুলিশকে উপস্থাপন করেছি। বিদেশের মানুষের মুখ থেকে স্বীকার করিয়েছি আমাদের দেশ এত ভালো, আমাদের সরকার এত ভালো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *