‘দেখার পর আমার ভেতরটা কান্না করে উঠেছিলো’

ঈদ শেষ হলেও ঈদের আমেজ যেন এখনও রয়েছে। ঈদকে ঘিরে নির্মিত হওয়া নাটকগুলো একে একে প্রচার হচ্ছে টেলিভিশন কিংবা ইউটিউবে। সদ্যই মুক্তি পেলো বিশেষ নাটক ‘ভয়েস ক্লিপ’। ডা: জাহান সুলতানার রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীন, এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী।

প্রচারের পর দর্শকমহলে দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে নাটকটি। মৃত্যুপথযাত্রী বাবাকে বাঁচাতে না পারা এবং ভুল সিদ্ধান্তে নিজের অপরাধবোধ যেন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিলো শিরিনকে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিরিন চরিত্রটি যেন সমাজের চারপাশের চেনা এক চরিত্র। সেই চরিত্রে মেহজাবীনের অসাধারণ অভিনয় দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ইউটিউবে মন্তব্যের ঘরে মিলছে প্রশংসাসূচক মন্তব্য।

ইউটিউবে মন্তব্যের ঘরে কার্তিক মৈতি নামে একজন লিখেন, মেহজাবীন বাংলাদেশের একজন বিশাল বড় মাপের তারকা, বিশাল বড় এক সম্পদ। আমার মনে হয় ওর জায়গা আরো উচুঁতে হওয়ার কথা ছিল। অভিনয় দেখার পরে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

রাসেল লিখেন, নাটকটা দেখে মনের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসল। সত্যিই অসাধারণ একটা নাটক।

পৌলমি চ্যাটার্জি নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে লিখেন, হৃদয় ছোঁয়া নাটক। প্রতিটি শিল্পীর পরিশিলিত অভিনয় মন কেড়ে নিলো। শিরিনের আতরের ঘ্রাণ নেওয়া চোখে জল এনে দিল। আমিওতো ১৪ বছর পর এখনও বাবাকে খুঁজি। একজন মানুষের অনুভূতিই পারে তার অন্ধকার অতীত ভুলে আলোর পথে নিয়ে আসতে, বাশারের voice clip তার প্রমাণ। শেষে সম্ভাবনা থেকে গেলো দ্বিতীয় পর্বের। যদি শিরিনের ডাক্তার হওয়া ও বাশারের আলোর পথে থাকার সাক্ষী হওয়া যায়, মন্দ হয়না।

স্বর্ণা তাহিন লিখেন, আমিও এখনও কাঁদতেছি। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা জানে, সমাজ, জীবন কত কঠিন আমাদের জন্য। বাবারা কত অসহায় হয়ে পড়ে, আল্লাহ আমি কান্না থামাতেই পারতেছিনা।

আফসানা তন্দ্রা নামের একজন লিখেন, বাশারের ভয়েস ক্লিপ টা মন ছুঁয়ে গেলো, এমন একটা চরিত্র এভাবেও নিজেকে শুধরে কাউকে ভালোবাসতে পারে এভাবে…..!! আর মেহজাবীনের আতরের সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়াটা দেখে আমার অন্তরের ভেতরটা কান্না করে উঠেছিলো।

আরও একজন লিখেন, আমার বাবা এখনো জীবিত আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু কেন জানি নাটক টা দেখে চোখ ভেঙ্গে অঝোর ধারায় কান্না চলে আসলো, হয়তো এটাই বাবার প্রতি সন্তানের দ্বায়িত্ব আর ভালোবাসা।

তানিয়া রোজারিও লিখেন, মেহজাবীন মানেই অন্যকিছু, সত্যিই অসাধারণ, এমন শীতল অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম, কিভাবে পারো চরিত্রের সাথে এমন ভাবে মিশে যেতে, বাস্তবতার অনেক মিল।

মাহফুজা লিখেন, মেহজাবিন এর অভিনয় আর নাটকের গল্পটার জন্য চোখে পানি চলে আসলো। বিশেষ করে আতরের গন্ধ নেওয়ার দৃশ্য টুকু দেখে। খুব সুন্দর নাটকটা। একেবারে হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে।

মুনমুন লিখেন, অসাধারণ। চোখের পনি ধরে রাখতে পারি নাই। আতরের গন্ধ পেয়ে যখন থমকে গিয়েছিল, আমার বাবার কথা আমার মনে পড়ে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *