দেনমোহরের টাকা প্রতিটা মেয়ের অধিকার: সুবাহ

গত বছরের ১ ডিসেম্বর বিয়ে করেছিলেন আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা ও সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেন। এক মাস যেতে না যেতেই তাদের সংসারে নানান ঝামেলা শুরু হয়। একে-অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও তোলেন। এরপর ইলিয়াসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন সুবাহ। সেই মামলায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলিয়াসের সঙ্গে আপস করেছেন তিনি।

আর এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। ১০ লাখ টাকায় মামলা তুলে নেওয়ায় সুবাহকে নিয়ে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সুবাহ।

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে সুবাহ লেখেন, ‘৫/৬ মাস ধরে ইলিয়াসের পরিবার আমার পরিবার নিয়ে মীমাংসার জন্য আমাকে বলা হচ্ছিল, তাই আমি তাদের সাথে এখন মীমাংসা হয়ে গেছি এবং কেস তুলে নিয়েছি সেও তাই করেছে। আর যা হয়েছে দুইজনেরই জীবনের ভালোর জন্যই হয়েছে। আর দুই পরিবার এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ ও অনুরোধে। ’

এই নায়িকা অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন দেনমোহরের টাকা আর কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাধু হওয়ার চেষ্টায় আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেই যাচ্ছে সামাজিকভাবে। দেনমোহরের টাকা দিয়ে এতো নাটক করার কী আছে? না দিতে পারলে তখনই মীমাংসার সময়ে বলতো আমরা দিতে পারবো না। কিন্তু তখন এই কথাগুলো বলেনি তার পরিবার! শুধুমাত্র আমাকে ছোট করার জন্যই সামাজিকভাবে এইসব বলা এবং করা হচ্ছে। অথচ মীমাংসার আপসনামায় স্পষ্ট করে লেখা আছে, কেউ কারও বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে কোন হেয় প্রতিপন্নমূলক কথা একে অপরকে বলবো না এবং একে অপরের মামলা নিজ দায়িত্বে তুলে ফেলবো।’

দেনমোহরের টাকা প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘বিয়ের পর আইনগতভাবে দেনমোহরের ভরণপোষণ, খোরপোষ এর টাকা প্রতিটা মেয়ের প্রাপ্য অধিকার এবং এটি অবশ্যই হালাল ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক কারণ তার সাথে আমার ভালোবেসে বিয়ে হয়েছিল। সংসার তো আমি শেষ অবধি করতে চেয়েছি। শুধু সংসার বাঁচানোর জন্য আমি তো তার মতো তাকে ছেড়ে কোথাও যাইনি। আর আমি তাদের মতো কাউকে বলিও নাই আসেন আমার সাথে মীমাংসা করেন এবং টাকা দিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন!’

‘আমি আর কোনো প্রকারের কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না। দুই পরিবারে সম্মানের দিকে তাকিয়েই মীমাংসা করেছি। আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং আস্থা ছিল আছে এবং থাকবে। এবং আল্লাহ যা করেছেন মঙ্গলের জন্যই করেছেন।’

সবশেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন, ‘সাংবাদিক ভাই ও বোনদের কাছে এতটুকুই বলতে চাই, বিয়ের পর আমাদের জীবনে সমস্যার তৈরি হয়েছিল তা আমরা পারিবারিক এবং আইনগতভাবে মিটিয়ে নিয়েছি। তাই একতরফা মনগড়া ভাইরাল হেডলাইন দিয়ে আর আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে নিউজ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। নিজেরাও ভালো থাকুন আমাকেও ভালো থাকতে দিন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *