পূর্ণিমা: যার রূপে বয়স বন্দি!
ঢাকাই সিনেমার যে’জন নায়িকা দর্শকমনে দীর্ঘস্থায়ী ভালোবাসা অর্জন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম পূর্ণিমা। নব্বইয়ের দশকের একদম শেষ দিকে সিনেমায় পা রেখে এখনো পর্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। লাস্যময়ী চেহারা, মন ভোলানো হাসি আর অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে তিনি জয় করেছেন কালের সীমানা।
আজ ১১ জুলাই পূর্ণিমার জন্মদিন। ৪১ বছরে পা রাখলেন নায়িকা। কিন্তু তাকে দেখলে কি সেটা মনে হয়? একদমই না। বয়স যেন তার কাছে একটা সংখ্যা মাত্র। বয়সের সংখ্যাকে তিনি তার রূপ-লাবণ্যের কাছে বন্দি করে রেখেছেন। যার কারণে বয়স বাড়লেও ছেদ পড়ে না পূর্ণিমার রূপে। দিনে দিনে তিনি যেন আরও বেশি লাস্যময়ী হয়ে উঠছেন।
১৯৮১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পূর্ণিমা। তবে তার বেড়ে ওঠা ঢাকায়। পূর্ণিমা নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম দিলারা হানিফ। ডাক নাম রিতা।
পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে। ক্যারিয়ারে তিনি শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’, ‘রাক্ষুসী’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’, ‘সুলতান’-এর মতো দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসাসফল সিনেমা।
টিভি নাটকেও পূর্ণিমার বিচরণ উল্লেখযোগ্য। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ল্যাবরেটরি’, ‘এখনো ভালোবাসি’, ‘নীলিমার প্রান্তে দাঁড়িয়ে’, ‘অমানিশা’, ‘ওইখানে যেও নাকো তুমি’, ‘উল্টোধনুক’, ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাত দিন’, ‘লাভ অ্যান্ড কোং’, ‘ফিরে যাওয়া হলো না’, ইত্যাদি।
২০১০ সালে পূর্ণিমা ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেছেন।
ব্যক্তি জীবনে পূর্ণিমা বিয়ে করেছেন আহমেদ জামাল ফাহাদকে। ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আরশিয়া উমাইজা নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
পূর্ণিমা দীর্ঘদিন সিনেমায় অভিনয় করেননি। কেবল ছোট পর্দায় নাটক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা দিয়েই কেটেছে তার সময়। তবে বর্তমানে তার হাতে দুটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল পরিচালিত ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’।