প্রস্তাব পাওয়ার পর চোখ বন্ধ করে রাজি হয়ে গেছি: পূজা চেরি

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের উপন্যাস ‘হৃদিতা’ অবলম্বনে একই নামে ইস্পাহানী আরিফ জাহান নির্মাণ করছেন সিনেমা ‘হৃদিতা’।গত ৬ আগস্ট সিনেমাটির ফার্স্ট লুক প্রকাশ হয়েছে।

জানা গেছে, সিনেমাটি আগামী ৭ অক্টোবর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সময়ের দর্শকপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। সিনেমাটিতে পূজার নায়ক চিত্রনায়ক এবিএম সুমন।

চলচ্চিত্রটিতে কিভাবে যুক্ত হলেন, সেই গল্প জানালেন পূজা। বলেন, আনিসুল হক স্যারের সঙ্গে আগে থেকেই আমার পরিচয়। তার একটি ম্যাগাজিনের মডেলও হয়েছিলাম আমি। এ ছাড়া আমার স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি যেতেন। সাধারণত কোনো সিনেমার প্রস্তাব এলে দু- এক দিন ভাবি। কাজটা করব কি না চিন্তা করি।

তবে এক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। কারণ আমার প্রিয় লেখক দুজনের একজন হলেন তিনি। তাই ‘হৃদিতা’ সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পাওয়ার পর একটুও সময় নিইনি। চোখ বন্ধ করে রাজি হয়ে গেছি। আমি বলেছি, আমিই পর্দার হৃদিতা হব। আর কেউ হবে না। কেননা আমি তার ভক্ত হয়ে তার উপন্যাসের চরিত্রে কাজের সুযোগ পাচ্ছি এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।

চরিত্রটির জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল? জানতে চাইলে পূজা চেরি বলেন, ‘হৃদিতা সিনেমাটির নামভূমিকায় অভিনয় করেছি আমি। এটি আনিসুল হকের জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর একটি। অনেকেই উপন্যাসটি পড়েছেন। তারা একেকজন একেকভাবে কল্পনায় হৃদিতাকে এঁকেছেন, ভেবেছেন।

সেকারণে শুরুতে চরিত্রটি আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল। কেননা সবাই যেহেতু নিজেদের মতো করে হৃদিতাকে ভেবেছেন সেহেতু আমি কতটা তাদের ভাবনার হৃদিতার মতো হব এটা একটা বাড়তি চাপ মনে হয়েছিল আমার কাছে।

হৃদিতা মেয়েটি কেমন? তিনি বলেন, হৃদিতা মেয়েটি একদম পাশের বাড়ির মেয়ের মতো। একটু মিষ্টি, সাধাসিধে, একটু চঞ্চল ও মায়াবতী। যে কারও তাকে ভালো লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *