ফাইভ-জি অটোমোবাইল ইকোস্ফিয়ার সৃষ্টিতে অংশীদার হুয়াওয়ে

ফাইভ-জি চালিত অটোমোবাইল ইকোস্ফিয়ার তৈরির মাধ্যমে শিল্পখাতে ফাইভ-জি প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহারকে ত্বরান্বিত করতে ১৮টি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে সেবা প্রদানকারী বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ের সাথে জোটভুক্ত হওয়া প্রথম ব্যাচের ১৮টি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য রয়েছে: ফার্স্ট অটোমোবাইল গ্রুপ, চ্যাং’অ্যান অটোমোবাইল, ডংফেং মোটর করপোরেশন, এসএআইসি মোটর করপোরেশন, গুয়াংজু অটোমোবাইল গ্রুপ, বিওয়াইডি অটো, গ্রেট ওয়াল মোটরস, চেরি হোল্ডিংস এবং জেএসি মোটরস।

এ নিয়ে হুয়াওয়ে রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিক শু বলেন, ‘অটোমোটিভের সাথে আইসিটি খাতের সম্পৃক্ততায় বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন গাড়ি তৈরি হবে, যা মানব সমাজের জন্য যুগান্তকারী একটি ঘটনা। এর প্রভাব দু’টি শিল্পখাতকেই ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’

ট্রান্সমিশন স্পিড, রিলায়াবিলিটি ও লো ল্যাটেন্সির অগ্রগতির কারণে কানেক্টেড গাড়িতে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালনায় ও গাড়িতে বিনোদন সক্ষমতা বাড়াতে ফাইভ-জি প্রযুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গ্লোবাল ডাটার তথ্য অনুযায়ী, ফাইভ-জি প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১.১৪ বিলিয়ন গ্রাহক নিয়ে শীর্ষস্থানীয় অঞ্চল হবে এশিয়া-প্যাসিফিক। ২০২৪ সালের মধ্যে ফাইভ-জি গ্রাহক সংখ্যার মোট ৬৫ শতাংশ হবে এ অঞ্চলে। যা আইওটি এবং অটোমোবাইলের মতো খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

২০১৯ সালে এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ফাইভ-জি কমিউনিকেশনস হার্ডওয়্যার এমএইচ৫০০০ চালু হওয়ার পর হুয়াওয়ে ইকোসিস্টেম অংশীদারদের ফাইভ-জি সমর্থিত বাহন এবং উদ্ভাবনী ফাইভ-জি+সি-ভি২এক্স ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে নানা পণ্য ও টি-বক্স প্ল্যাটফর্মের মতো প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছে।

গত এপ্রিলে হুয়াওয়ে নিউ এনার্জি ভেহিকেল (এনইভি) চার্জিং অবকাঠামোর জন্য সমধান হিসেবে নতুন ডিসি ফাস্ট-চার্জিং মডিউল প্রোডাক্ট ‘হুয়াওয়ে হাই-চার্জার’ নিয়ে আসে। অ্যাপ ইন্টারফেস, গাড়ি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, স্মার্ট ককপিট ও ভেহিকেল বা গাড়ির ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটি একটি উন্মুক্ত ইন্টেলিজেন্ট-ড্রাইভিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে।

গত কয়েক বছরে, অনেক আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ফাইভ-জি পণ্য ও সমাধানের ওপর ভিত্তি করে স্ব-চালনা, ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক ও ইনফরমেশন সার্ভিসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে, যা ক্রমান্বয়ে ক্রেতাদের অটোমোবাইল শিল্পে ফাইভ-জি প্রযুক্তির গুরুত্ব বোঝাতে সক্ষম হয়েছে।

‘হুয়াওয়ে গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নয়,’ বলেন এরিক শু। তিনি আরও বলেন, ‘তবে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে অটোমোবাইল খাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সরবরাহ করাই হুয়াওয়ের লক্ষ্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *