অনুদানের টাকায় নয়, কাজ করে শিল্পীদের বাঁচানোর চেষ্টা করব: নিপুণ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা ছিল। প্রথম দিকে নির্বাচনের ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরে স্থগিত হয় সাধারণ সম্পাদকের পদ। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে হয় সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের। অবশেষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এখন থেকে সম্পাদক হিসেবে নিপুণ আক্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিপুণ বলেন, দীর্ঘ নয় মাস ধরে আমি ধৈর্য্য ধরে আছি। অপেক্ষায় আছি। সত্যের পক্ষে রায় আসার। অবশেষে সত্যের জয় হল।

তিনি বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এখন একটা কথাই বলব, এই বিজয় আমার একার নয়, সত্যের জয় হয়েছে।

নিপুণ বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনের মধ্যে প্রথম কাজ ছিল সদস্যপদ হারানো সদস্যদের পদ ফিরিয়ে দেওয়া। আমি, আমার শ্রদ্ধাভাজন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন এবং নির্বাহী কমিটি মিলে সেই প্রতিশ্রুতি প্রথমে রক্ষা করেছি। অসহায় সদস্যদের কল্যাণে যা করার সবই করার চেষ্টা করে গেছি। তবে পদ নিয়ে আইনি পথে হাঁটতে গিয়ে সব কাজ সুচারুরূপে পালন করা শতভাগ সম্ভব হচ্ছিল না। এখন সময় এসেছে সব ওয়াদা পূরণের।

আর একটা কথা না বললেই নয়, কাঞ্চন ভাই আমার জন্য অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। তারপরও তিনি হাল ছাড়েননি। সব কথার বাইরে গিয়ে তিনি সমিতির উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। সমিতির পক্ষ থেকে সুন্দর একটি ইফতার পার্টি করেছি আর ঈদে অসহায় শিল্পীদের জন্য যেভাবে যা করা দরকার সেভাবেই কাজ করেছি। বাকি সব কাজ ইনশা আল্লাহ নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে শেষ করার আশা রাখি।

শিল্পীদের এই নেতা বলেন, আমি নির্বাচনের আগেও বলেছি, চলচ্চিত্র যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থা থেকে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তিনি এফডিসিতে যতদিন না আসবেন ততদিন সিনেমার কোনো উন্নতি হবে না। তাই এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। তাঁকে এফডিসিতে নিয়ে আসব।

চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে না চাহিদা অনুযায়ী। সিনেমার লগ্নিকারক সংকট। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বছরে ৭০ থেকে ৮০টি সিনেমা নির্মাণ করার জন্য অনুদান চাইব। আমরা দেখেছি, তিনি নিজে যেসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেন, সেসব সমস্যা দ্রুত দূর হয়। প্রধানমন্ত্রী এফডিসিতে এলে আমাদের সব সমস্যা শুনে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে চলচ্চিত্রের সমস্যাগুলোও দূর হবে।

তিনি বলেন, শিল্পীদের অনুদানের টাকায় নয়, কাজ করে বাঁচানোর চেষ্টা করব। তাছাড়া একটা কথা পরিষ্কার বলতে চাই, শুধু সমিতি নিয়ে থাকলেই চলবে না, সবাইকে কাজের মধ্যে আনতে হবে। সেই দায়িত্ব সবাইকে নিয়ে এখন পালনের সময় এসেছে। সব শিল্পীকে সঙ্গে নিয়ে সমিতিকে আরও অনেক ভালো কাজ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *