কুড়িগ্রামে নোবেলের অসংলগ্ন আচরণ, যা বলছেন স্ত্রী সালসাবিল

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০বছর পূর্তি ও সূর্বণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী নোবেলের মাতলামির অভিযোগে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে। জুতা ও পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। শিল্পী নোবেলের এমন কর্মকাণ্ড মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে এবং এতে করে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলছেন, নোবেল আগে নামাজ পড়তো। মঞ্চে ওঠার আগে নামাজ পড়া বাদ যেত না। এমনকী সারগামাপা অনুষ্ঠানেও সবাইকে বসিয়ে নামাজ পড়ে তারপর মঞ্চে উঠেছে। নোবেলের এমন বদলে যাওয়া মানতে পারছেন না তিনি।

সালসাবিল বলেন, সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তোবা মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তাও আবার মাদক ঘটিত। যেরকম মানুষ নোবেল কোনো দিনই প্রথম থেকে ছিলো না। এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা শো’তে যাবার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া। সারেগামাপা চলাকালীন পুরো শুটিংয় ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সাথে অমায়িক ব্যাবহার।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আর সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে গায়ক নোবেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাত ৯টার দিকে তার গান গাওয়ার কথা থাকলেও তিনি মঞ্চে ওঠেন ১১টা ২০মিনিটে। মঞ্চে উঠে নোবেল তার চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রেখে বলেন,দ্বিতীয় বার কুড়িগ্রাম আসলাম। এর আগে এসেছিলাম তোমাদের সাথে দেখা হয়নি। সুদুর ইন্ডিয়ার বর্ডার লাইনে থেকে গেছিলাম। তোমাদের কারও সাথে দেখা হয়নি। এবার দেখা হলো আলহামদুলিল্লাহ।

এরপর এই আমার চশমাটা কই বলে চিৎকার করেন। পরে চশমা পেয়ে চোখে পড়ে “সে যে আমার জন্মভূমি” গান পরিবেশন করেন। এসময় তিনি মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড আছড়ে ভেঙে ফেলেন। এরপর তিনি স্টেজে দু’পা তুলে প্যারেড করার মতো লাথি পেরে পরনের প্যান্ট দু’হাত দিয়ে ঠিক করে তিনি গান ধরেন “কারার ঐ লৌহ কপাট”। গানের এক পর্যায় অসলংগ্ন আচরণ করতে করতে বসে পড়েন। তার এমন এমন আচরণের (মাতলামি) কারণে ক্ষেপে গিয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতলের ঢিল ছুঁড়ে মারেন নোবেলের দিকে। পরে স্টেজে থাকা কয়েকজন এবং আয়োজকবৃন্দ নোবেলকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

এমন দৃশ্য ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনুষ্ঠান পণ্ড হবার বিষয়ে শিল্পি এবং আয়োজকবৃন্দের করও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।