বাবা মিশে গেল এই গ্রামেরই আলো বাতাসে: চঞ্চল
বাবা হারানোয় শোকাতুর অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে গেল ২৭ ডিসেম্বর অনন্তলোকের পথে পাড়ি জমান তার বাবা রাধাগোবিন্দ চৌধুরী।
ব্যথাতুর চঞ্চল বাবার শেষকৃত্য শেষে সামাজিক মাধ্যমে নাতিদীর্ঘ শোকগাঁথা লিখেছেন। প্রতিটি লাইনে ফুটে উঠেছে অসীম শূন্যতা। অভিনেতা লিখেছেন, ‘২৭ ডিসেম্বর রাতে বাবা আমাদের সকলের মায়া-মমতা ত্যাগ করে, ইহলোক ত্যাগ করে চলে গেল পরলোকে।
গতকাল নিজগ্রাম কামারহাটের পদ্মাপাড়েই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাবা মিশে গেল এই গ্রামেরই আলো বাতাসে, পদ্মার জলে। সন্ধ্যায় ধর্মীয় আচার শেষে যখন নদীর পাড় থেকে বাড়ি ফিরলাম তখন ভুলেই গেছিলাম যে বাবাকেই তো নদীর পাড়ে রেখে এসেছি।’
বাবাকে রেখে সারারাত ঘুমাতে পারেননি চঞ্চল। প্রতিটি মুহূর্তে তাকে অনুভব করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, ‘সারারাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সারা বাড়িময়, ঘরময় যেন বাবা গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এই বুঝি কখন আমায় ডাক দিয়ে বলবে, চঞ্চল, বাবা ঘুমাইছো? বাবার কোনো কথা আর কোনোদিন কানে বাজবে না। বাবাকে দেখতে পাব না। এগুলো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
বাবার রেখে যাওয়া শালটা গায়ে জড়িয়ে এই কথাগুলো লিখেছেন চঞ্চল। সেটা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘যখন এই কথাগুলো লিখছি শীতের এই সকালে বাবার শালটাই আমার শরীরে জড়ানো। যে জায়গায় রোদে বসে আছি, এ জায়গায় বসেই বাবা রোদ পোহাতো। রোদের উষ্ণতা নয়, বাবার শরীরের কোমল উষ্ণতা খুঁজে ফিরছি এখন। বাকী জীবনটা হয়তো এভাবেই খুঁজতে হবে।’
যারা তার বাবার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন। নানাভাবে পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন চঞ্চল। তিনি লিখেছেন, ‘বাবার প্রয়াণে যে সকল সুহৃদ আমাদেরকে নানানভাবে সমবেদনা জানিয়েছেন, শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পর্যন্ত আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।’
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন চঞ্চলের বাবা। ১৫ ডিসেম্বর তিনি প্রথম নেটদুনিয়ায় তার বাবার অসুস্থতার কথা জানান। রাধাগোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষক। তিনি পরিচিত ছিলেন দুল মাস্টার নামে।
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?