‘স্বামীকে বাবার সুখ দিতে পারিনি, কারণ আমি অক্ষম’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার প্রখ্যাত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমা ও ধারাবাহিকে কাজ করেছেন।

শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দি টেলিভিশনেও সফল ইন্দ্রাণী হালদার। বেশ কিছু হিন্দি সিনেমাতেও কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে না পাওয়ার দুঃখ পুষে বেড়াচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সেই অজানা গল্প শুনিয়েছেন ইন্দ্রাণী।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত চ্যাটার্জি। স্ত্রী হিসেবে নিজেকে কত নাম্বার দেবে- এমন প্রশ্ন করেন তিনি। জবাবে ইন্দ্রাণী হালদার বলেন—‘দশে জিরো। আমি একদম বাজে বউ। বর কলকাতায় এলেই বলি, আমার শুটিং আছে, আমার শুটিং আছে খাবার গরম করে খেয়ে নিও। বাই বাই। আসলে বউ হিসেবে স্বামীর জন্য অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও তা করতে পারি না। যতটুকু পারি করি।’

আর কী কাজ করতে পারলে নিজেকে বেশি নাম্বার দিতে? শাশ্বতর এ প্রশ্নের জবাবে ইন্দ্রাণী বলেন—‘একটা জিনিস আমি করতে পারিনি; যা নিয়ে আমার ভীষণ আফসোস হয়। বিষয়টি খোলা মনে বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। শুধু ক্যারিয়ার, কাজ, দায়িত্ব পালন করতে করতে সন্তান জন্ম দিতে পারিনি।’

এ কথা বলার পর হাস্যোজ্জ্বল ইন্দ্রাণীর চোখে-মুখে বিষাদের ছায়া নেমে আসে। ইন্দ্রাণীর নিজ মুখে বিষয়টি শুনে আবাক হয়ে যান সঞ্চালক শাশ্বত। কারণ ঠিক কী বলবেন তিনিও বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তবে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে ইন্দ্রাণী বলেন, ‘সত্যি বলতে সন্তান নিয়ে আমার আর আমার বরের আফসোস রয়েছে। ভাস্কর মাঝে মাঝে বলে সবার সংসারের দায়িত্ব পালন করে গেলে!’

এক সময় সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইন্দ্রাণী। কিন্তু হয়নি। তা জানিয়ে ৫১ বছর বয়েসী এই অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন হলো না তখন আমরাও চেষ্টা করা ছেড়ে দিই। কারণ আমাদের দুজনের বয়সই তখন ৪০ পেরিয়ে গেছে। তারপর দুজনেই বলি, থাক আর দরকার নেই। তবে আমি সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাস্কর রাজি হয়নি। স্ত্রী হিসেবে ভাস্করকে বাবার সুখটা দিতে পারতাম; কিন্তু সেটা দিতে পারিনি। কারণ আমি অক্ষম।’

সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ইন্দ্রাণী ও তার স্বামী ভাস্কর রায়ের শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তারপরও কেন হয়নি তা ঠিক জানেন না বলেও জানান এই অভিনেত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *