শাবনূর-পপিকে এখনো পর্দায় দেখতে চান ভক্ত-দর্শক

বাংলাদেশের সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র, নন্দিত চিত্রনায়িকা শাবনূর। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাকালীন যতদিন তিনি অভিনয়ে নিয়মিত ছিলেন ততদিনই তার অনবদ্য অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে গেছেন।

তার অভিনীত অসংখ্য সিনেমা রয়েছে যা ব্যবসা সফল। কিন্তু সেই নন্দিত নায়িকা দীর্ঘদিন অভিনয়ে নেই। কিন্তু তার ভক্ত-দর্শকরা এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন যে যেকোনো সময় আবারো অভিনয়ে ফিরবেন তাদের প্রিয় নায়িকা শাবনূর।

করোনার আগে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন শাবনূর। সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি তার। তবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর তার দেশেই জন্মদিন উদযাপনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে জন্মদিনের আগেই হয়তো শাবনূর দেশে ফিরবেন।

এদিকে গেল বছরের শুরু থেকেই অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা পপি। সর্বশেষ তিনি সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত একটি সিনেমার কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু রাজু আলীমের একটি সিনেমার কাজ শুরু করেও শেষ পর্যন্ত তিনি তা শেষ করে আড়ালে যেতে পারেননি।

পপি কেন আড়ালে, আর এই আড়াল কবেই বা তিনি ভাঙবেন- সেই ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা মিলেনি। কেউ বলছেন তিনি বিয়ে করে আড়াল হয়েছেন। আবার এ ব্যাপারে কোনো সত্যতা বা প্রমাণও মিলেনি। তবে শিল্পী সমিতির গত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া চিত্রনায়িকা নিপুণের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে।

তার সূত্রে জানা যায় যে, পপি হয়তো শিগগিরই আড়াল ভাঙবেন।

শাবনূর আর পপির কোটি কোটি ভক্ত চান তারা দুজনই নিয়মিত কাজ করুক। ভালো গল্প এবং তাদের উপযোগী চরিত্রেই তার ভক্ত দর্শকেরা তাদের দেখতে চান। যদি শাবনূর-পপি দুজনই আবার চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ফিরেন এবং এই সময়ে একটু ব্যতিক্রম ঘরানার সিনেমার প্রতি দর্শক যেভাবে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, এই ধরনের গল্পে যদি তারা কাজ করেন তবে অনেকেরই ধারণা তারা দুজন আবারো অভিনয়েই ব্যস্ত হয়ে উঠবেন। কারণ এমন অনেক গুণী নির্মাতাও আছেন যারা শাবনূর-পপিকে নিয়ে কাজ করতে চান।

শাবনূর-পপির সঙ্গে অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস।

তিনি বলেন, শাবনূর কিংবা পপি দুজনই মেধাবী অভিনেত্রী। দুজনই অসময়ে অভিনয় থেকে নিজেদের আড়াল করেছেন। যে সময়টাতে তাদের ওপর গল্প ভাবনা নিয়ে সিনেমা নির্মিত হতে পারত, সেই সময়ে তারা নেই। আমি চাইব তারা কাজে ফিরে আসুক, আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গন আরও প্রাণ ফিরে পাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *