অনন্ত-বর্ষার সম্পর্ক ঠিক হলো, আমি ভিলেন হয়ে গেলাম : অনন্য মামুন
আসছে ঈদে সিনেমা মুক্তিকে কেন্দ্র করে তারকা অভিনেতা ও প্রযোজক অনন্ত জলিলের সঙ্গে নির্মাতা অনন্য মামুনের স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।
অনন্তর সিনেমার ১০০ কোটি টাকা বাজেট নিয়ে নির্মাতা অনন্য মামুনের সমালোচনার প্রেক্ষিতে একটি টেলিভিশন টকশো-তে অনন্ত জলিল বলেন, ‘অনন্য মামুনকে আমি ডিরেক্টর বানিয়েছি। আমার টাকায় ওর ডিরেক্টর ফি (পরিচালক সমিতির সদস্য পদ) দিয়েছি ১ লাখ ৬ হাজার টাকা। অনন্ত জলিলের সমালোচনা করার মতো তোমার (অনন্য মামুন) কী যোগ্যতা আছে? সামনে পেলে ওকে আমি কান ধরে ওঠ-বস করাব।’ এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নির্মাতা অনন্য মামুন।
শনিবার (৯ জুলাই) সকালে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন তিনি। যেখানে তিনি নিজের ক্যারিয়ার, অনন্ত জলিলের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রপাত, সিনেমা পরিচালনার সুযোগ, অনন্ত-বর্ষার দাম্পত্য কলহসহ নানান বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
নির্মাতা অনন্য মামুনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘‘অনেক চুপ ছিলাম। দেখলাম চুপ থাকা মানে মিথ্যাটাকে অন্যায় হিসেবে মেনে নেওয়া। সত্যটা বলা দরকার।
অনন্ত সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১০ সালের দিকে। আমি তখন কলকাতায় নিয়মিত গল্প লেখক হিসেবে এসকে মুভিজের সঙ্গে কাজ করি। স্পেলাশ ম্যাগাজিনের বাবুর সঙ্গে আমার আগে থেকেই চেনাজানা ছিল। বাবু আমাকে হোটেলে ডাকল, অনন্ত ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হলো। বাংলাদেশের ছেলে কলকাতায় কাজ করে শুনে তিনি (অনন্ত) অনেক খুশি হলেন। আমি ল্যাপটপে গল্প লিখি ব্যাপারটা তার মনে ধরে। তিনি বললেন, দেশে এসে আমার সঙ্গে মিট করবেন।
অনন্ত ভাইয়ের একটা ভালো গুণ আছে, তিনি ছোট-বড় সবাইকে আপনি করে বলেন। এর মধ্যে শুনি পরিচালক সোহান ভাইয়ের সঙ্গে আমার জুটি হিট। আমার দেওয়া সবগুলো গল্প হিট। ‘কথা দাও সাথী হবে’, ‘আমার জান আমার গান’, ‘পরান যায় জ্বলিয়ারে’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’, ‘এক মন এক প্রাণ’। সোহান ভাই অনন্ত ভাইয়ের সিনেমা ‘দ্য স্পীড’ লেখার জন্য অনন্ত ভাইয়ের অফিসে নিয়ে গেলেন। তার সঙ্গে আমার দ্বিতীয় দেখা। এরপর তার সঙ্গে আমার কাজ শুরু হলো।
আমার কাজের দক্ষতা দেখে অনন্ত ভাই বললেন, আমাকে শুটিংয়ে থাকতে হবে। আমি এত কিছু ম্যানেজ করতে পারব না। অনন্ত ভাইয়ের সঙ্গে থেকে আমি শুটিংয়ের প্ল্যান শুরু করলাম। ক্যামেরা, লোকেশন, শিল্পী সবকিছু। তখন থেকেই আমি সোহান ভাইয়ের চোখে ভিলেন হয়ে গেলাম।
সবাই শুটিং শেষ করে দেশে ফেরে। আমি আর অনন্ত ভাইয়ের অফিসের লোক ব্রুসলী এক সপ্তাহ পরে ফিরে আসি। কারণ, তখন নেগেটিভে শুটিং হতো। টেলিসিনিং করে ফাইট এডিট করে আমি দেশে ব্যাক করি।
মজার ব্যাপার হলো, অনন্ত ভাইয়ের সিনেমার খরচ তার অফিসের লোক দেখাশোনা করে। পরিচালক বা অন্য কারও হাতে টাকা দেওয়া হয় না। মালয়েশিয়ায় খরচের হিসাবে তার লোক ২৩ লাখ টাকা বেশি দিয়ে আসে। পরে আমি হিসাব বের করে তাকে টাকাটা ব্যাক করে দেই। সেদিন তিনি বলেছিলেন, আপনি আমার ছোট ভাই।
‘দ্য স্পিড’ সিনেমার সব পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ আমি চেন্নাই থেকে করে নিয়ে আসি। অবশ্যই তার জন্য অনন্ত ভাই আমাকে সম্মানি দিয়েছেন। ‘দ্য স্পিড’ সিনেমার পরে অনন্ত ভাই বললেন, মামুন আপনি এত কিছু পারেন এবারের সিনেমাটা আপনি বানান। সিনেমার মানুষ হিসেবে এটা আমার স্বপ্ন ছিল, সেটা পূরণ হলো।
আমাকে এক লাখ টাকা সাইনিং মানি দিলেন। সম্পূর্ণ সিনেমার জন্য ৫ লাখ টাকা; সত্যি একজন নতুন পরিচালক হিসেবে এটা অনেক টাকা। আমি পরিচালক সমিতিতে সেখান থেকে ৫৬ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে সদস্যপদ নিলাম। এখন আপনারা বলেন তো, টাকাটা কার? আমার নাকি অনন্ত ভাইয়ের? আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞতা জানাই অনন্ত ভাইকে, আমাকে তার সিনেমায় প্রথম পরিচালক হিসেবে সুযোগ দেওয়ার জন্য।
অনন্ত ভাইয়ের সঙ্গে বর্ষা ম্যাডামের সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। অনন্ত ভাই বাইরের হিরোইনকে নিয়ে কাজ করবে, বর্ষা করতে দেবে না। ফাইনালি তাদের সম্পর্ক ঠিক হলো, আমি ভিলেন হয়ে গেলাম। শেষ হলো ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ সিনেমা। এবং এখন অবধি মুনসুন ফিল্মসের সবচেয়ে বড় হিট সিনেমা।
তারপর লোকজনের মুখে শুনতে শুরু করলাম, আমি নাকি ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ সিনেমার টাকা মেরে উত্তরাতে ৬ তলা বাড়ি বানিয়েছি। একদিন সরাসরি অনন্ত ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই উত্তরাতে ৬ তলা বাড়ি বানাতে কত টাকা লাগে আপনি ভালো করেই জানেন। ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ সিনেমার বাজেট ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। আমি সব টাকা মেরে দিলেও কি জায়গা কিনে উত্তরাতে বাড়ি বানানো সম্ভব? তিনি জবাব দিতে পারেননি। কারণ, তিনি জানতেন, তার অফিসে কাউকে সরাসরি টাকা দেওয়া হয় না। সব খরচ তার অ্যাকাউন্টস দেখে।
‘মোস্ট ওয়েলকাম-২’ সিনেমার দেশের বাইরের সব শুটিং আমি পরিচালনা করেছি। নাজিম শাহরিয়ার জয়, মিশা ভাই, ডন ভাই তারা ব্যাপারটা ভালো করেই জানেন। দেশে আসার পর যখন কথায় কথায় একদিন অনন্ত ভাই আমার বাবা-মাকে জড়িয়ে একটা গালি দেয়, ওই দিন থেকে চলে এসেছি। আপনার (অনন্ত) পাশের লোকজন টাকার জন্য আপনাকে হুজুর হুজুর করতে পারে, আমি না। আপনার ব্যক্তিগত জীবনের গল্পগুলো না বলি, কারণ আমি আপনাকে সম্মান করি। মানুষকে সম্মান করা পারিবারিক শিক্ষা।
পরিশেষে একটা কথাই বলি, এবার ঈদে তিনটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ- এটা বলার জন্য পাবলিক আছে। আপনি দেশের সিআইপি, আপনার ব্যবহার দেখে আমরা শিখব, ভবিষ্যতে সিআইপি হওয়ার স্বপ্ন দেখব। দয়া করে সেই জায়গাটা নষ্ট করবেন না।’’
প্রসঙ্গত, এবার ঈদে মুক্তির তালিকায় থাকা সিনেমার সংখ্যা তিন। এর মধ্যে অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমাটি বেশ চর্চিত। এর মূল কারণ, বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই সিনেমার বাজেট ১০০ কোটি। এ ছাড়াও মুক্তির তালিকায় আছে রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ এবং অনন্য মামুনের ‘সাইকো’।
tricor 200mg price order fenofibrate 160mg without prescription brand tricor 160mg
Wow, incredible blog format! How long have you
ever been blogging for? you make blogging look easy.
The full glance of your site is excellent, let alone the content
material! You can see similar here najlepszy sklep
Article writing is also a fun, if you be acquainted with then you can write
otherwise it is complex to write. I saw similar here: Najlepszy sklep
Hey there! Do you know if they make any plugins to help
with SEO? I’m trying to get my blog to rank for some targeted keywords but
I’m not seeing very good success. If you know of
any please share. Cheers! You can read similar text here: Dobry sklep
It’s very interesting! If you need help, look here: ARA Agency