পদ্মা সেতুর আদলে নির্মাণ হবে কালুরঘাট সেতু
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর পদ্মা সেতুর আদলে সেতু নির্মাণ করা হবে। পদ্মা সেতুর মতো এ সেতুর ওপরের অংশে চলবে গাড়ি, নিচের অংশে চলবে রেল।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করা হয়। সেখানে কালুরঘাটে নির্মিতব্য সেতুর প্রস্তাবিত নকশা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, এরইমধ্যে পুরো প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করবে কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত এক্সিম ব্যাংক।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া ইওসিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন সেতু নির্মাণের প্রাথমিক সমীক্ষা শেষ করেছে। একই সঙ্গে, তারা সেতু নির্মাণের জায়গা, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে।
উপস্থাপিত প্রস্তাবনা অনুযায়ী, হালদা নদীর উজানের দিকে বর্তমান সেতুর ৭০ মিটার দূরে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার আরও বলেন, সেতুর আটটি পিলারের ওপর সাতটি স্প্যান বসবে। নদীর বাইরে স্থলপথে সেতুর ৫.৬২ মিটার অংশ থাকবে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য হবে ১০০ মিটার। সেতুর উচ্চতা হবে ১২.২ মিটার।
আগামী মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এরপর দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষে আগামী বছরের শুরুর দিকে দরপত্র আহ্ববান প্রক্রিয়া শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। সেতুটি নির্মাণ করতে চার বছর সময় লাগবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।
১৯৩০ সালে ব্রুনিক অ্যান্ড কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী নদীর ওপর প্রথম সেতুটি নির্মাণ করে। প্রথমে সেতুটি দিয়ে শুধুমাত্র ট্রেন চলাচল করতো। পরে ১৯৫৮ সালে সেতুটিকে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়। বয়সের ভারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় সেতুটিতে দিয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।