পদ্মা সেতুর প্রথম লেডি বাইকার রোবায়েত রুবা

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যেন স্বপ্নজয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে মানুষ। রোববার (২৬ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা চালু হবার পর সেতু পাড়ি দেয়ার উৎসবে মেতেছে সবাই। এদিন প্রথম যে বাহনটি টোল দিয়ে পার হয়, সেটি মোটরসাইকেল। অন্যান্য গাড়ির তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যায় বেশি।

এদিকে প্রথম লেডি বাইকার হিসেবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন রোবায়েত রুবা নামে এক নারী। রাজধানী মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে গিয়ে সকালে সেতুতে ওঠেন। সে হিসেবে রোবায়েতই পদ্মা সেতুর প্রথম লেডি বাইকার।

টোলপ্লাজা পার হয়ে সেতুতে ওঠার আগে তিনি একটি ফাঁকা জায়গায় এসে দাড়ান। এরপর তার সঙ্গে অন্যান্য বাইকারদের ফ্রেমবন্দি হন। তখন সময় সংবাদের সঙ্গে কথা হয় তার।

তিনি জানান, এ অনভূতি প্রকাশ করার মতো না। সকালে মিরপুরের শেওড়া পাড়া থেকে বাইক চালিয়ে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি। যাব পদ্মা সেতুর অপরপ্রান্তে।

পেশায় ইউটিউবার রোবায়েত রোবা জানান, আমি পদ্মা সেতু পাড়ি দেবার পাশাপাশি ইউটিবের জন্য কন্টেন্ট বানাতে এসেছি। এখান শ্যুট করে ঢাকায় ফিরে কন্টেন্ট বানাব।

সঠিক ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে রোবায়েত আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেতুতে নিয়ম অনুয়ায়ী গাড়ি চালানো উচিত। লিখে দিয়েছে ৮০কিলোমিটার। আমি আইন মান্য করে বাইক চালিয়ে এসেছি। সবাইকেই একই অনুরোধ করব।

শনিবার (২৫ জুন) স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মুহূর্তেই অবসান হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি আর যানজটের। প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দেশের বৃহত্তম এবং পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ এই সেতুটি।

অনেক মূল্যে পাওয়া পদ্মা সেতু এখনও উৎসবমুখর। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টায় যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। এর আগে গাড়িগুলো ভোর রাত থেকেই জমা হতে থাকে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায়।

এরপরই স্বপ্নের সেতু পারাপার হওয়ার আনন্দে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা দেয় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজায়। মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, প্রাইভেটকার, পিকআপসহ পদ্মা সেতু দেখতে আশা হাজার হাজার মানুষ টোল দিয়ে সেতুতে উঠছে। সবার হাসিমুখ। অনেকের মুখে আবার জয় বাংলা স্লোগান।

গতকাল পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আজ রোববার থেকে সেতু পার হওয়ার অনুমতি মেলে সর্বসাধারণের। আর তাই শনিবার সেতুতে চড়তে না পারার আক্ষেপটা আজই পূরণ করে নিচ্ছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *