ছুটির মেজাজে টালিপাড়া, হোলিতে তারকাদের পরিকল্পনা

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই রঙিন হয়ে উঠবে বাংলার আকাশ। কানে ভেসে আসবে চেনা সেই গান- ‘ললিত রঙে রস তরঙ্গে প্রাণের সঙ্গে হোলি খেল, পঞ্চম রাগে রাঙা অনুরাগে অন্তর মন ভরে তোলো।’ আট থেকে আশি আবির হাতে চেঁচিয়ে বলবে, ‘আজ হোলি!’

হোলির আরও কিছুদিন বাকি থাকলেও এখনই ছুটির মেজাজে টালিপাড়া। কাজের ফাঁকেই চলছে হোলির পরিকল্পনা।

টালিউড তারকা সোলাঙ্কি রায় বলেন, বন্ধুদের সঙ্গেই দোল খেলব। রঙ খেলা আর হয় না। আবির দিয়েই হোলি খেলি। বরাবরই খুব কাছের বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সঙ্গে দোল খেলি। এ বছর আমার এক বিশেষ বন্ধু আসছে। ফলে ওর সঙ্গেও প্ল্যান রয়েছে। রঙের উৎসব বরাবরই আমার খুব পছন্দের।

তৃণা সাহা বলেন, এখনো কিছুই প্ল্যান করিনি। আপাতত ঠিক করেছি, বাড়িতেই বন্ধু বান্ধবদের ডেকে পার্টি করব। গত বছর হোলির সময় আমি আর নীল কলকাতায় ছিলাম না। এ বছর হোলির সময় আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ঘুরতে যাবেন। আমরাই একা বাড়িতে থাকব। আশা করছি, তারপরও এই বছরটি ভালো কাটবে।

এ বছর হোলিতে গৌরবের সঙ্গে শান্তিনিকেতন যাচ্ছেন দেবলীনা কুমার। তিন বছর পর শান্তিনিকেতন যাওয়ার প্ল্যান হয়েছে তার। তিনি বলেন, ওখানে আমাদের ছোট একটি বাড়ি আছে, সেখানেই থাকব। মা-বাবাও আমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন। এখন পাকা রঙ দিয়ে হোলি খেলি না। কারণ, পরের দিন কাজ থাকতে পারে। কিন্তু, আবির খেলা হয়।

হোলিতে এ বছর তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই ঐন্দ্রিলা সেন। তিনি বলেন, অনেকগুলো আমন্ত্রণ পেয়েছে। যেতেও পারি, আবার নাও পারি। কারণ, আমার ত্বকে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই দোল খেলতে পারব কিনা জানি না। কোথাও যাব অথচ হোলি খেলব না সেটা খারাপ দেখায়। বন্ধুরা সকলেই এ বছর কাজে ব্যস্ত। অঙ্কুশও নেই, বিক্রমও নেই। ভাই-বোনরাও কাজে ব্যস্ত। তাই প্রতিবারের মতো এবার তেমন প্ল্যানিং হয়নি।

বাবা অসুস্থ থাকায় হোলিতে বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই শ্রুতি দাসের। কিন্তু পরিবারের সবাই মিলেই রঙ খেলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, হোলি খুবই বিশেষ দিন। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগ পর্যন্ত আমি কাটোয়াতেই দোল কাটাতাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *